ভেজাল করার এক অসাধারণ দক্ষতা বাঙ্গালির আছে। যে কোন জিনিসকে প্রায় হুবহু নকল করতে পারে। তেলের সাথে পামওয়েল, মরিচে ইঁটেরগুড়ো এবং রং। লোহা লক্করের মত জিনিসেও বাঙ্গালী ভেজাল মেশায়। আর স্বভাব চরিত্র? সেটাতেও ভেজাল, কেবল সাধারণ মানুষ হলে কথা ছিল না সরকারি উচ্চ পদে আছে যারা তারাও ভেজাল। আবার বাঙ্গালী এই ভেজালেও চমৎকারভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। এখন পানিছাড়া দুধ খেতে পারেনা, ফরমালিন ছাড়া মাছ কেনে না। নামাজ পড়ে এসে চেয়ারে বসে ঘুষের টাকা নিতে হাত কাঁপে না। উন্নয়নের রাস্তায় বাঁশ দিলেও কেউ কিচ্ছু বলেনা। কারণ সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে লুটপাটে ব্যস্ত। আর উপরি যেহেতু আছে সেহেতু চালের দাম তেলের দাম বা মাছ মাংসের দাম বাড়লেই কি? তার আয়ও বাড়বে। এইতো বর্তমান সময়ে একই সাথে সবকিছুর দাম বেড়ে গেল, সংবাদপত্রগুলো ছাড়া জনগন নামের অপদার্থদের কোন সাড়া শব্দ পেলাম না। সবাই চুপ সবাই মেনে নিল, কারণ সবাই চোর। বেশি চেঁচাতে গেলেই ফেঁসে যাবে।
সত্যকথা এবং উচিৎ কথা বলা মানুষকে এখন কেউ পছন্দ করে না। তাদের পাগল বলে। আবার উচিৎ কথা যেন বলতে না পারে তারজন্য হাদিস পেশ করে। যদিও হাদিসের ব্যাখ্যা অন্যরকম। সঠিক ব্যাখ্যা এখন আর আলেমরা দিতে চান না, বিরক্ত হন। আর হালাল হারাম মিশাইয়া এমন অবস্থা বানাইছে চেনার কোন উপায় নাই। চিনবেন কেম্নে? একজন আলেম নিযুক্ত আছেন হারামটাকে সার্টিফাই করার জন্য। আপনিতো আলেমের চেয়ে বেশি বোঝেননা। সঠিক বলা যাদের কর্তব্য তারাই মিথ্যা এবং ভুল কথা বলে চলেছেন। আর এই ভেজাল জাতি অহ নো অহ নো করেই সব হজম করে যাচ্ছে। ৷ কপি ঃ সৌরভ ভাই
0 Comments